রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষা: মে মাসের শেষে, সিলেবাস প্রকাশ

রেলওয়ে নিয়োগ পরিক্ষা ২০২৫: বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী (১০ম গ্রেড) নিয়োগ পরীক্ষা আবার নেবে পিএসসি। মে মাসের শেষে হবে পরীক্ষা, অংশ নেবে শুধু আগের প্রার্থীরা। MCQ ও লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস সহ বিস্তারিত।

রেলওয়ে নিয়োগ পরিক্ষা ২০২৫

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ রেলওয়ের ১০ম গ্রেডের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর ৫১৬টি পদের জন্য আবারও নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করবে। উপ-সহকারী প্রকৌশলীর ১১টি শ্রেণীর ৫১৬টি শূন্য পদের জন্য নিয়োগ পরীক্ষা চলতি বছরের মে মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে। পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচী, আসন বিন্যাস, কেন্দ্র এবং অন্যান্য বিস্তারিত নির্দেশাবলী পরে ঘোষণা করা হবে।

পিএসসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, গত বছরের ৫ জুলাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা কেবল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। নির্বাচন ও লিখিত পরীক্ষা একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন (এমএসসিডব্লিউ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে। ১০০ (একশ) নম্বরের ১ ঘন্টার নির্বাচন পরীক্ষা এবং ১০০ (একশ) নম্বরের ৩ ঘন্টার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ১১টি শ্রেণীর পদ ৫ (পাঁচ)টি ক্লাস্টারে বিভক্ত করে নির্বাচন ও লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলো:

• ক্লাস্টার A: উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ)
• ক্লাস্টার B: উপসহকারী প্রকৌশলী (ওয়ে/ওয়ার্কস/এস্টেট)
• ক্লাস্টার C: উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল ড্রয়িং/এস্টিমেটর)
• ক্লাস্টার D: উপসহকারী প্রকৌশলী (সিগন্যাল/টেলিকমিউনিকেশন)
• ক্লাস্টার E: উপসহকারী প্রকৌশলী (স্টোর/মেকানিক্যাল/ট্রেন এক্সামিনার/ড্রয়িং/মেরিন/ব্রিজ)

যদি কোন প্রার্থী একটি ক্লাস্টারের অধীনে একাধিক পদের জন্য আবেদন করে থাকেন, তাহলে তাকে সেই ক্লাস্টারের জন্য নির্ধারিত শুধুমাত্র একটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। তবে, যদি কোন প্রার্থী বিভিন্ন ক্লাস্টারের অধীনে একাধিক পদের জন্য আবেদন করে থাকেন, তাহলে তাকে সংশ্লিষ্ট সকল ক্লাস্টারের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচী, আসন বিন্যাস, কেন্দ্র এবং অন্যান্য বিস্তারিত নির্দেশাবলী পরে জানানো হবে।

লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস মোট ১০০ নম্বরের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যার বিভাজন নিচে দেওয়া হলো:

টেকনিক্যাল বিষয়ে লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস

ক্লাস্টার A (উপসহকারী প্রকৌশলী – বিদ্যুৎ): ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিষয়গুলো, যা সংশ্লিষ্ট সনদধারীরা অধ্যয়ন করে থাকেন।

ক্লাস্টার B (উপসহকারী প্রকৌশলী – ওয়ে/ওয়ার্কস/এস্টেট): সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিষয়সমূহ, যা সংশ্লিষ্ট সনদধারীরা অধ্যয়ন করে থাকেন।

ক্লাস্টার C (উপসহকারী প্রকৌশলী – সিভিল ড্রয়িং/এস্টিমেটর): সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (মূলত Engineering drawing/ Projection–সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হবে)।

ক্লাস্টার D (উপসহকারী প্রকৌশলী – সিগন্যাল/টেলিকমিউনিকেশন): বেসিক টেলিকমিউনিকেশনস এর বিষয়সমূহ, যা সংশ্লিষ্ট সনদধারীরা অধ্যয়ন করে থাকেন।

ক্লাস্টার E (উপসহকারী প্রকৌশলী – স্টোর/মেকানিক্যাল/ট্রেন এক্সামিনার/ড্রয়িং/মেরিন/ব্রিজ): এইচএসসি পর্যায়ের বিজ্ঞানের কোর্সগুলো (পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন), যা সংশ্লিষ্ট সনদধারীরা অধ্যয়ন করে থাকেন।

প্রসঙ্গত, রেলওয়ের ১০ম গ্রেডের ১১ ক্যাটাগরির ৫১৬টি উপসহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগের জন্য ২০১৯ ও ২০২৩ সালে দুটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। এরপর গত বছর, ২০২৪ সালের ৫ জুলাই এই পদগুলোর জন্য নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সে সময় রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সরকারি কর্ম কমিশনের কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছিল। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের বিষয়ে পিএসসি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছিল। চাকরিপ্রার্থীরা এই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছিলেন।

রেলওয়ে নিয়োগ পরিক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠার প্রায় পাঁচ মাস পরে, গত বছর (২০২৪ সালের) ২ ডিসেম্বর সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) রেলওয়ের ১০ম গ্রেডের ১১ ক্যাটাগরির ৫১৬টি উপসহকারী প্রকৌশলী পদের এমসিকিউ পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করে।

বিস্তারিত এই https://bpsc.gov.bd লিংকের মাধ্যমে জানা যাবে।

আরও পড়ুন: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা: তারিখ ঘোষণা, পরীক্ষার্থীদের জন্য ৭ নিয়ম